শিক্ষক ছাড়া যোগ্য সমাজ ও উজ্জ্বল জীবন অকল্পনীয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কাছে বাবা-মায়ের মতো। বাবা-মা যেমন তাদের ভালোবাসা, স্নেহ, মমতা দিয়ে সন্তানদের বড় করেন, ঠিক তেমনি শিক্ষকরা শিক্ষার আলো দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এর সঙ্গে থাকে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা।
তাদের শিক্ষার আলো যেমনি শিক্ষার্থীদের সামনের পথচলাকে সুদৃঢ় করে। তেমনি তাদের স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পিতামাতা কেবল সন্তান জন্ম দিয়েই ক্ষান্ত হন।
কিন্তু শিক্ষকরা শত কষ্টে আমাদের মানুষ করে গড়ে তুলেন। তাই তাদের প্রতি আমাদের দেনার কোনো শেষ নেই। উন্নয়নের স্বয়ংক্রিয় ধারা বেগবান ও চলমান রাখার নিমিত্ত দেশের জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করতে প্রয়োজন শিক্ষা। আর শিক্ষা বিস্তারের এই মহান অথচ দুরূহ দায়িত্বটি নিরলসভাবে অনেকটা মায়ায় পালন করে থাকেন শিক্ষক। এ জন্য ’শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড’ আর শিক্ষককে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড বলা হয়। তবে সে শিক্ষাটি হতে হবে সুশিক্ষা; যার জন্য প্রয়োজন হয় সুশিক্ষকের।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ‘জীবনের সাথে জীবনের আশ্রয়স্থল খোঁজার নামই শিক্ষা’ অর্থাৎ মানুষ অপার শক্তির মহিমা অনুসন্ধান ও আবিষ্কারে আত্মজিজ্ঞাসার যে উন্মেষ ঘটায় তাই শিক্ষা। অন্যদিকে যে শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্বের বিকাশের মাধ্যমে চরিত্রবান, সুশিল, পরিমার্জিত, সংস্কৃতিবান ও আদর্শবান করে গড়ে তোলে তাই সুশিক্ষা।
সুশিক্ষা মানুষকে সৎ চিন্তা ও সৎ কর্মে উদ্দীপ্ত করে কর্মকৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায়। অর্থাৎ যে শিক্ষায় মানবীয় গুণাবলী বিকশিত হয় সৎ, যোগ্য ও চরিত্রবান নাগরিক তৈরি হয় তাই সুশিক্ষা। সুশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর কোমল হৃদয়কে আন্দোলিত করে তাদেরকে সুদক্ষ, সৃজনশীল, দায়িত্বশীল, দেশপ্রেমিক, কর্তব্য পরায়ণ, নিষ্ঠাবান, সৎ ও যোগ্য জনসস্পদে রূপান্তরে সুশিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। মোঃ আল-মুকিদ (মাহি) বাংলা বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা। নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।