২৬ রানে নেই ৬ উইকেট! ১০০ তো দূরের কথা, দলের স্কোর ৫০ হবে তো? রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের অবস্থা ছিল এ রকমই। সেই অবস্থা থেকে ১৬৫ রানের রানের জুটি গড়ে দলকে পথ দেখালেন লিটন দাস আর মেহেদী মিরাজ। দুজনের মাঝে মিরাজ টানা দ্বিতীয় টেস্টে সত্তরের ঘরে আউট হলেও লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ থামে ২৬২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। মাত্র ৯ রানেই হারিয়ে ফেলে দুই উইকেট।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান তাড়ায় নেমে শনিবার দ্বিতীয় দিনে দুই ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। রোববার সকালে সবকিছু যেন ওলটপালট হয়ে যায়। খুররম শাহজাদের বোলিং তোপে ২৬ রানেই পড়ে যায় ৬ উইকেট। এই ডানহাতি পেসার ২১ ওভারে মাত্র ৯০ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। এর পরই অসামান্য এক জুটি গড়েন মিরাজ ও লিটন। ১২৪ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় ৭৮ রান করা মিরাজ খুররমের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হলে জুটি ভাঙে।
এরপর টেইল এন্ডার ব্যাটার হাসান মাহমুদকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন লিটন। সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে লিটনকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন হাসান। ঠান্ডা মাথায় লিটন এগোতে থাকেন। এর আগে ছক্কা মারতে গিয়ে একবার ক্র্যাম্পও হয়েছিল। সেটা নিয়েই তিনি ১৭১ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। শেষ বেলায় আউট হওয়ার আগে খেলেন ২২৮ বলে ১৩ চার ৪ ছক্কায় ১৩৮ রানের ইনিংস। দুই বছর আগে সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরের সেই ১৪১ রান তার ক্যারিয়ারসেরা।
হাসান মাহমুদের সঙ্গে নবম উইকেটে লিটনের জুটি হয়েছিল ৬৯ রানের। ৫১ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন হাসান। পাকিস্তানের থেকে ১২ রান দূরে থামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩.৪ ওভার খেলে ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিকী ৩ আর খুররম শাহজাদ ০ রানে ফিরেছেন। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানের লিড হয়েছে ২১ রানের। তৃতীয় দিন শেষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই। পাকিস্তান পড়েছে মহা বিপদে।