দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। অনেকেরই রাতে ঘুমাতে দেরি হয়। অনিদ্রায় ভোগেন অনেকে। কারণ রাতে বিছানায় গা ভাসালেই নানা দুশ্চিন্তা এসে ভর করে। মানসিক অস্থিরতা কাজ করে। যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতের নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য আর মনকে শান্ত রাখার জন্য় যোগাসন করা যেতে পারে। এতে ঘুমটা ভালো হবে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় শক্তি পাওয়া যাবে।
ঘুমের জন্য নিজেকে তৈরি করতে কয়েকটি বিশেষ যোগাসন অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, কিছু যোগাসন নিয়মিত করলে ভালো ঘুম হবে। যেমন-
প্রথমে মেঝেতে হাঁটু ভাঁজ করে বসতে হবে। হাঁটু দুটো জোড়া অবস্থায় থাকবে এবং পায়ের গোঁড়ালির ওপর নিতম্ব অবস্থান করবে। পায়ের পাতা থেকে হাঁটু পর্যন্ত মেঝের সঙ্গে লেগে থাকবে। এবার দুই হাত হাঁটুর ওপর রাখতে হবে। হাতের তালু হাঁটুর ওপর থাকবে। ধীরে ধীরে পায়ের পাতা দুটো দুদিকে সামান্য পরিমাণ সরিয়ে নিতে হবে। মেরুদণ্ড ও হাত সোজা রেখে ৩০ সেকেন্ড রাখতে হবে। এই সময় স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হবে। আরও দুবার আসনটি করতে হবে।
পা দুটি সোজা করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পায়ের পাতার ওপর দিকটা যত দূর সম্ভব মুড়ে মেঝেতে রাখতে হবে। দুই হাতের তালু উপুড় করে বুকের কাছে দুই পাশে মেঝেতে রাখুন। এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে রেখে হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা যত দূর সম্ভব ওপরে তুলুন এবং মাথাকে যতটা সম্ভব পেছন দিকে বাঁকিয়ে ওপরের দিকে তাকান। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ৩০ সেকেন্ড এ অবস্থায় থাকুন। ধীরে ধীরে মাথা ও বুক নামিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এভাবে দুবার করুন।
হাঁটু ভেঙ্গে বসে পড়ুন। এবার দুই পায়ের মধ্যে ফাঁক করুন। এবার দুই হাত মাথার ওপর প্রসারিত করে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ুন। কপাল মেঝের সঙ্গে লাগিয়ে দিন। এ অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড থাকুন। আসনটিও দুবার করুন।
চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা ও দুই হাত দুই দিকে প্রসারিত করুন। হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন। ধীরে ধীরে মেঝের ডান দিকে নিতম্ব ঘুরিয়ে ডান হাঁটু দিয়ে মেঝে স্পর্শ করুন। শরীরের উপরিভাগ সোজা রেখে মাথা বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিন। ৪-৫ বার গভীর শ্বাস নিন। অন্য পাশেও একই পদ্ধতিতে করুন।
চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত ও পা দুই পাশে প্রসারিত করুন। এবার ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন। তারপর হাঁটুর সঙ্গে নাক স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। পাঁচবার গভীর শ্বাস নিন। আরাম করুন। বিপরীত দিকে পুনরাবৃত্তি করুন।
কোন দেয়ালের কাছাকাছি শুয়ে পড়ুন। দুই পা দেয়ালের সমান্তরাল উঠিয়ে দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট থাকুন। ঘুমানোর আগে আসনটি অবশ্যই করুন। ভালো ঘুম হবে।