চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায় এক সৌদিপ্রবাসীর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় টাকা, স্বর্ণালংকার ও স্ত্রীকে ফেরত পেতে গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সৌদিপ্রবাসী মাছুম রাব্বানী।
মাছুম রাব্বানী পৌর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৩) একই উপজেলার ৯ নম্বর গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে মাছুম রাব্বানীর সঙ্গে বিয়ে হয় মরিয়ম বেগমের। এই দম্পতির পাঁচ বছরের একটি ছেলেসন্তান আছে। স্ত্রী মরিয়ম বেগম তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। এ সময় রাজীব সিকদার ওরফে ইমন (২৭) নামের একজনের সঙ্গে তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
গত ২১ আগস্ট চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমবায় সমিতি থেকে মাছুম রাব্বানী ও তার ভাবি তাছলিমা বেগমকে জামিনদার করে চার লাখ টাকা তোলেন মরিয়ম বেগম। এরপর তার ছেলেসন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। এ ঘটনার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে ২৪ আগস্ট ছেলেকে নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরত আসেন।
এদিকে ২৭ আগস্ট সেই চার লাখ টাকাসহ আলমারিতে থাকা নগদ ছয় লাখ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার, সৌদি মুদ্রা (রিয়েল), মোবাইল ফোনসহ প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে রাজীব সিকদার ওরফে ইমনের সঙ্গে পালিয়ে যান মরিয়ম।
সৌদিপ্রবাসী মাছুম রাব্বানী বলেন, আমার স্ত্রীকে আমি কোনো দিক দিয়ে অভাবে রাখিনি। জীবিকার তাগিদে প্রবাসে ছিলাম, এটাই কি আমার অপরাধ? পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে ফিরে আসতে বললে সে জানায়, আমার সঙ্গে আর সংসার করবে না। আমি যেন তাকে খোঁজার চেষ্টা না করি।
তার প্রেমিক রাজীব সিকদার ওরফে ইমন আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বলে, আমার স্ত্রীকে নিয়ে সে সুখে আছে। উপায়ান্তর না পেয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েছি। সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের আলোকে ভিকটিমের অবস্থান নির্ণয় করতে কাজ চলছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।