মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মোঃ জালাল উদ্দিন। ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ার কথা। অথচ কি গরমটাই পড়ছে। হাঁসফাঁস অবস্থা। আবার বৃষ্টি হলেও পরিবেশ ঠাণ্ডা হয় না। ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা হচ্ছে। গাছের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাব। পরিবেশ তো গাছ ঠাণ্ডা রাখবে, তাই নয় কি? তাই গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। এই কথাগুলো বলে বলে গাছ লাগাচ্ছেন, শ্রীমঙ্গল ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ তারিক হাসান।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষক মোঃ তারিক হাসান এর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চারুকলা একাডেমি প্রাংগনে ৪১টি গাছের চারা লাগানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রকৃতিবিদ খোকন থৌনাউজাম, কবি নাট্যকার জহিরুল মিঠু,পল হ্যারিস হাই স্কুল প্রিন্সিপাল আফরোজা রুহেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চারুকলা একাডেমি প্রিন্সিপাল মিহির ভৌমিক, তৌহির মিলন। এছাড়াও ছিলেন শান্তনু হাসান, আরইয়ান শাহরিয়ার, আয়াত আলভীরসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক মো. তারিক হাসান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশিরভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপকহারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, খাদ্য সমস্যাও একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগের দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিন ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই পানিতে প্লাবিত হয়। সবুজ-শ্যামল এ দেশটা আগের মতো আর নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তার বেশিরভাগেই ছিল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে। গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংসের কারণে পাখপাখালিও আগের মতো আর তেমন দেখা যায় না। গাছপালা কাটার ফলে পাখিদের আশ্রয়স্থলও কমে যাচ্ছে। অতিথি পাখির আগমনও সমীচীন হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়তই এভাবে গাছপালা কেটে উজাড় করতে থাকলে পাখিদের বংশ বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই পরিবেশ ও দেশ বাঁচাই।
আজকের গাছের চারা: ২০ টা হিজল, ২ টা শিমুল, ১ টা আমলকি, ১ টা নিম, ১৫ টা ক্যাসিয়া, ১ টা সোনালু, ১ টা বেগুনী চেরি।